‘ইনসাফ’-এর পর নতুন উদ্যমে শরীফুল রাজ: সামনে আরও বড় চমক
ঢাকাই চলচ্চিত্রে ১০ বছর পূর্ণ করলেন শরীফুল রাজ। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাফ’–এ সফলতার পর এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘দেয়ালের দেশ’। নতুন সিনেমার খোঁজ, পারিবারিক সময় ও শরীরচর্চা—সব কিছু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই তারকা।
ঢালিউডের তরুণ অভিনেতাদের মধ্যে শরীফুল রাজ এখন পরিচিত নাম। তাঁর অভিনীত ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’র মতো চলচ্চিত্রগুলো যেমন সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি ‘ইনসাফ’ এনে দিয়েছে মূলধারার দর্শকপ্রিয়তা। এখন মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে তাঁর নতুন ছবি ‘দেয়ালের দেশ’, যেখানে রাজকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন এক চরিত্রে।
রাজ বলেন, “ইনসাফে কাজ করে বুঝেছি, আমি অ্যাকশন সিনেমাতেও মানিয়ে নিতে পারি। দর্শকের রেসপন্স ছিল দারুণ। এখন চাই এই ধারা বজায় রাখতে।”
তিনি জানান, কয়েকটি নতুন সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছেন, গল্পও শুনেছেন, তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন রাজ। কুয়ালালামপুরে থাকেন তাঁর ছোট বোন, যিনি প্রথমবার মা হতে চলেছেন। “বোনের পাশে থাকা দরকার ছিল। সেইসঙ্গে পরিবার নিয়ে কিছুটা সময় কাটানোও দরকার ছিল আমার জন্য,” বলেন রাজ।
ছুটির মধ্যেও রাজ ঠিকই সময় দিয়েছেন নিজের ফিটনেস রুটিনে। বলেন, “অ্যাকশন সিনেমায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে ফিট রাখতেই হবে। দেশে ও বিদেশে শারীরিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথাও ভাবছি।”
রাজ জানান, সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন জিম করেন তিনি। বলেন, “মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। আমি নিজেকে আগাম দিনের জন্য প্রস্তুত করছি।”
আগামীতে দেশে বা দেশের বাইরে অ্যাকশন স্টান্ট প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরিকল্পনাও করছেন এই অভিনেতা।
ঢালিউডের নানা সহশিল্পী ও নির্মাতার কথা বলার সময় রাজ অকপটে বলেন, “শাকিব খান, শুভ ভাই, সিয়াম—তাঁরা সবাই আমার আগেই শুরু করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। পরিচালক রায়হান রাফি, মেজবাউর ভাইও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন।”
নায়িকাদের মধ্যে রাজের তালিকায় আছেন—সাবিলা নূর, বুবলী, মিম, তুষি ও তাসনিয়া ফারিণ। “ফারিণ খুবই ভালো কাজ করছে। ওকে আরও বাণিজ্যিক ছবিতে দেখা উচিত,” বলেন তিনি।
হলিউডে রাজের প্রিয় অভিনেতা আল পাচিনো ও রবার্ট ডি নিরো। বলিউডে দীপিকা পাডুকোন ও আলিয়া ভাটের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনেক দিনের। মজার বিষয়, রাজ বলেন, “সব নায়িকাই আমার ভালো লাগে। তবে ডেমি মুর আমার প্রিয় অভিনেত্রীদের একজন।”
শরীফুল রাজের যাত্রা এক দশক পেরিয়ে আরও বিস্তৃত হতে চলেছে। পারিবারিক দায়িত্ব, শারীরিক ফিটনেস এবং নতুন কাজের জন্য প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে তিনি নিজেকে গড়ছেন আরও পরিণত এক শিল্পী হিসেবে। ঢালিউডে অ্যাকশন ঘরানার একজন নির্ভরযোগ্য মুখ হয়ে উঠতে পারাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য।